দারাজের বিদেশী পণ্যগুলো কোন দেশ থেকে আগত?

আমার আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি জানতে পারবেন দারাজের বিদেশী পণ্যগুলো কোন দেশ থেকে আগত? এই সম্পর্কে বিস্তারিত। এজন্য আজকের আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। তাই শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।

দারাজ হলো বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় ও অধিক ব্যবহৃত একটি বড় ই-কমার্স প্রতিষ্টান। বর্তমানে এটি এত বড় রূপ ধারণ করেছে যার ফলে বাংলাদেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে দারাজ এর পণ্য ডেলিভারি হচ্ছে। অনেকে প্রশ্ন করে থাকে দারাজের বিদেশি পণ্যগুলো কোন দেশ থেকে আগত। এজন্য আজকে আপনাদের জানাবো দারাজ কিভাবে ব্যবসা করে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

২০১৫ সালের দিকে kaymu.com.bd নামক একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান চালু করা হয় যেটি daraz 2016 সালে কিনে নেয় এবং এটির নাম পরিবর্তন করে daraz রাখে। ২০১৬ যখন দারাজ নিজস্বভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করায় তখন দারাজের বিক্রি অনেক কমে গিয়েছিল। যার প্রথম কারণ ছিল দারাস তাদের পণ্য বিজ্ঞাপনে যেভাবে দেখাত কিন্তু বিক্রি করার সময় সেই সঠিক পণ্যটি দিত না। যার ফলে দারাজের রিপোর্ট তৈরি হয়।

আরো পড়ুনঃ  মোটরসাইকেলের জন্য কোন মবিল ভালো

কিন্তু ২০১৮ চীনের সব থেকে বড় ই-কমার্স প্রতিষ্টান alibaba.com যেটি বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত কোম্পানিটি বাংলাদেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজকে কিনে নেয়। অর্থাৎ বর্তমানে দারাজ আলিবাবার একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। যেখানে আলিবাবা বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছে বাংলাদেশের ই-কমার্স প্রতিষ্টান দারাজে। ফলে দারাজের এত বড় সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

দারাজে মানুষের প্রয়োজনীয় সকল পণ্য স্বল্প মূল্যে পাওয়া যায়। স্বল্প মূল্য থেকে শুরু করে বৃহৎ মূল্যের সকল পণ্য দারাজে পাওয়া যায়। ইলেকট্রনিক্স , মেলামাইন , রূপচর্চার সকল পণ্য , পোশাক , ঔষধ , লুব্রিকেন্ট , সৌখিনতার জিনিস , রুম ডেকোরেশনের সকল জিনিস ইত্যাদি সকল পণ্য দ্বারা যে সুলভ মূল্যে বিক্রি করা হয়। যেগুলো আপনি অর্ডারের মাধ্যমে হোম ডেলিভারী দিয়ে ক্রয় করতে পারেন।

দারাজের প্রধান কাজ হল ক্রেতা সংগ্রহ করা। এজন্য দারাজ প্রতিবছর মার্কেটিং এর পিছনে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে থাকে। বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর ১১ই নভেম্বর অনলাইন শপিং ইভেন্ট হিসাবে দিনটি পালন করা হয়। ঠিক তেমনি দারাজ ও এই দিনটি পালন করে থাকে। প্রতিবছর নভেম্বর মাসের ১১ তারিখে দারাজ 11.11 নামক বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। যেখানে অফারে কম দামে পণ্য বিক্রি করা হয়।

এছাড়া বছরের অন্যান্য সময়েও দারাজ বিভিন্ন কুইজ প্রতিযোগিতা ও বিভিন্ন অফার হিসাবে কম দামে পণ্য বিক্রি করে থাকে। এর একমাত্র উদ্দেশ্য হলো ক্রেতা বা গ্রাহক যোগানো। অর্থাৎ এটি মার্কেটিং এর একটি বিশাল বড় মাধ্যম। এই মার্কেটিং ব্যবস্থার মাধ্যমে দারাজ প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকা লাভ করে থাকে। যা বাংলাদেশের অন্য কোন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান করতে পারেনা।

বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান অবস্থিত ছোট বা বড় দোকানের মালিক , আমদানি কারক প্রতিষ্ঠান , ও অন্যান্য ব্যবসায়ীদেরকে দারাজ নির্দিষ্ট কাগজপত্র ও প্রক্রিয়া গ্রহণের মাধ্যমে দারাজ তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট daraz.com এ মার্চেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়। এই মার্চেন্ট হিসাবে নিয়োগকৃত ব্যক্তিদের মধ্যে দেশি সেলারের পাশাপাশি রয়েছে চাইনিজ সেলার।

মূলত আমরা মনে করি daraz.com.bd শুধুমাত্র একটি ওয়েবসাইট কিন্তু মূলত তা নয়। আমরা daraz.com.bd তে যেসব পণ্য দেখতে পারি তা মূলত প্রতিটি আলাদা আলাদা পেজ বা ওয়েবসাইটের ইন্টারফেস। মূলত বিক্রেতারা তাদের প্রতিটি পণ্যের সকল তথ্য দারাজের ওয়েবসাইটে সাবমিট করে। সাবমিট পণ্য যদি দারাজের পছন্দ হয় তখন সেটি এপ্রুভ করে তখন দারাজের ওয়েবসাইটে দেখা যায়।

এছাড়াও দারাজের রয়েছে নিজস্ব পণ্য স্টোর। দারাজ স্টোরে যেসব পণ্য দেখা যায় তা মূলত তারা যে নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের পণ্য। যেগুলো দারাজ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। দারাজ বিভিন্ন কোম্পানির পণ্যগুলো ডিলারশিপ এর মাধ্যমে কিনে নেয় এবং সেগুলো পড়ে বেশি দামে বিক্রি করে থাকে। এখান থেকেই মূলত দারাজের অধিকাংশ লাভ হয়ে থাকে।

তারাদের বিদেশি পণ্যগুলো চায়না থেকে আগত। দারাজের বিদেশে পণ্যগুলো মূলত দারাজে নিয়োগকৃত চাইনিজ সেলার এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আসে। মূলত যখন দারাজ থেকে কেউ বিদেশি পণ্যগুলো অর্ডার দেয় সেটি প্রথমে চাইনিজ সেলারের অর্ডারের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। যখন একই জিনিসের অর্ডার অনেক বেশি থাকে তখন চাইনিজ সেলার সেটি বাংলাদেশে রপ্তানি করে।

আরো পড়ুনঃ মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি চেক নতুন গ্রাহকদের জন্য

এজন্য বিদেশি পণ্যগুলো যদি দারাজ থেকে অর্ডার দেওয়া হয় তা ডেলিভারি হওয়ার জন্য কয়েকদিন সময় লাগে। অনেকে প্রশ্ন করে থাকে তারা যে বিদেশি পণ্যগুলো কোন দেশ থেকে আগত? যারা এ প্রশ্নটি করেছিল আশা করি তারা তাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি পেয়েছে এবং দ্বারা সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পেরেছে।

দারাজ থেকে পণ্য কেনার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আপনারা দারাজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। অথবা নিম্নের লিংকে ক্লিক করে daraz থেকে পণ্য কেনার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

আগেই বলেছি যখন কোন ব্যক্তি দারাজের ওয়েবসাইট থেকে কোন পণ্য অর্ডার করে তখন তা সেলারের ইনবক্সে চলে যায়। তখন সেই সেলার অর্ডার করা পণ্যটি ক্রেতাকে দেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। daraz.com.bd তে প্রবেশ করার পরে কোন পণ্যের ওপরে ক্লিক করলে বাম পাশে সেলারের বৃত্তান্ত দেখতে পারবেন। সেলার যখন কোন অর্ডার পায় তখন শিপিং এর জন্য তাকে তা প্যাকেজিং করতে হয়।

আরো পড়ুনঃ বোয়েসেল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জার্মান টেকনিক্যাল ২০২৩

অর্থাৎ আপনারা যে প্যাকেজিং দেখতে পান তা সেলার কর্তৃক প্যাকেজ করা হয়। সেলারের থেকে ডেলিভারি ম্যান সেই পণ্যটি নিয়ে আসে এবং ক্রেতার হাতে পৌঁছে দেয়। আগে শুধুমাত্র ঢাকাতে দারাজের অফিসিয়াল অফিস ছিল কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলাতেই দারাজের অফিস রয়েছে যেখানে দারাজে পণ্য প্যাকেজিং সহ সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

যখন কোন ক্রেতা কোন পণ্যের জন্য দারাজ থেকে অর্ডার করে তখন সেটি সেলারের ইনবক্সে আসে। তখন সেটি সেলেরির ওপর নির্ধারণ করে পণ্যের দাম ঠিক করা হয়। কম দামে যেসব পণ্য রয়েছে সেসব পণ্যের উপরে ১০ % হারে লাভ রাখা হয়। আর যেসব বিদেশি পণ্য বা ব্যান্ডের পণ্য রয়েছে সেসব পণ্যতে ১০ % এর কম লভ্যাংশ রাখা হয়।

ইতিপূর্বে দারাজ এর পণ্য ফেরত দেওয়ার মাধ্যম ছিল ডেলিভারি ব্যক্তির মাধ্যমে। যে ব্যক্তি পণ্য ডেলিভারি দিত তার মাধ্যমে পণ্য কেনার ৭ দিনের মধ্যে দারাজের পণ্য ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু বর্তমানে এ নিয়মটি পরিবর্তিত হয়েছে। এখন তারা যার কোন পণ্য ফেরত দিতে চাইলে নিকটস্থ দারাজ অফিসে গিয়ে পণ্যটি ফেরত দিতে হয়। যেটি অনেক বড় অসুবিধা।

দারাজের কাস্টমার কেয়ার নাম্বার হলো ১৬৪৯২

এছাড়া আপনারা ইচ্ছা করলে দারাজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট daraz.com.bd ভিজিট করে তাড়াতাড়ি কাস্টমার কেয়ার এর সাথে কথা বলতে পারেন।

দারাজের হেল্পলাইন নাম্বারগুলো হলো