পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি সময় - পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কত টাকা লাগে

proudwin.com

30 Aug, 2023

প্রিয় পাঠক , আপনি কি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি সময় - পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কত টাকা লাগে এই সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে আজকের এই ব্লগ পোস্টটি আপনার জন্য। তো চলুন আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে শুরু করা যাক আমাদের আলোচনার মূল আলোচ্য বিষয়, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি সময় - পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কত টাকা লাগে এই সম্পর্কে বিস্তারিত

আমার আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি জানতে পারবেন, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি সময় - পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কত টাকা লাগে এই সম্পর্কে বিস্তারিত। এজন্য আজকের আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। তাই শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি সময়

আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি সময় না জানার কারণে বিভ্রান্তিতে ভুগতে থাকে। কারণ কোন বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য না জানা থাকলে সে বিষয়ে দুশ্চিন্তা হবে, এটাই স্বাভাবিক। এজন্য আপনাদের সুবিধার্থে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি সময় সম্পর্কে বৃত্তান্ত।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট আগে ম্যানুয়ালি করা হতো কিন্তু বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে এটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে করা যায়। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হয়। আবেদন করার পরে একটি নির্দিষ্ট সময়ে এটির ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এজন্য এটি খুবই সহজ একটি মাধ্যম।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন করার পরে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারির সময় হল সর্বোচ্চ ১০ দিন। এছাড়া পুলিশ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ১০ দিনের মধ্যে ডেলিভারি না হলেও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সম্পর্কিত সকল তথ্য অনলাইনে সংযুক্ত থাকবে।

এছাড়া আপনি যদি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন করে থাকেন আর যদি আপনি ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হন, সেক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি সময় হল সর্বোচ্চ ৭ দিন। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হলে এই সুবিধাটি আপনি স্বচক্ষে দেখতে পারবেন।

এছাড়াও যদি আপনি ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার আশেপাশে যেমনঃ রমনা থানা থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি নিতে চান, সেক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি সময় ৭ দিনের ও কম। কারণ বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণ আমাদের সোনার বাংলাদেশ অনেকদূর পর্যন্ত এগিয়ে গেছে।

এছাড়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি করার সময় গ্রাহকের পূর্ববর্তী কোন ধরনের মামলা রয়েছে কিনা? অথবা কেউ শত্রুতা করে মামলা করে রেখেছে কিনা? এই বিষয়গুলো নিরপেক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। যদি মামলা থেকে থাকে তাহলে মামলার ধরনের উপরে নির্ভর করে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বাতিল বলে নির্ধারণ করা হয়।

আশা করি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে আপনারা বুঝতে পেরেছেন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ডেলিভারির সময় পরিবেশ পরিপেক্ষিতে ভিন্ন হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি সময় সাধারণত ১০ দিন , ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হলে ৭ দিন এবং রমনা থানা থেকে ৭ দিনের কম সময় লাগে।

মামলা থাকলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স

আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে কিংবা সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে দাবি করার লক্ষ্যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর আবেদন করে থাকে। কিন্তু যদি সেই ব্যক্তির নামে মামলা থাকে তাহলে সেই মামলাটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর প্রধান বাধ্যবাধকতা হতে পারে। তো চলুন এ বিষয়ে বৃত্তান্ত জেনে নেওয়া যাক।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য আবেদনকৃত ব্যক্তির নামে যদি থানায় ফৌজদারি মামলা থাকে তাহলে সেই ব্যক্তির পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর সার্টিফিকেট পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান বাধ্যবাধকতা হতে পারে। কিন্তু অনেকেই এই ফৌজদারি মামলা বিষয়ে কিছুই জানে না। ফলে তারা বিভিন্ন বিভ্রান্তিতে ভুগে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক এ বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত।

ফৌজদারী মামলা থাকলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর আবেদনকৃত ব্যক্তির পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে অনেক সমস্যা হয়। যেহেতু পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর অর্থ নিজেকে সুনাগরিক হিসেবে দাবি করার অধিকার। কিন্তু মামলা থাকার মানে সেই ব্যক্তি কোন নীতি গর্হিত কাজ করেছে। অর্থাৎ ডিজিটাল বাংলাদেশ এর কর্তৃক নির্ধারিত নীতিমালা লংঘন করেছে।

ফৌজদারি মামলা থাকলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়। এক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বাতিল হলে নতুন ভাবে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর আবেদন করতে হয়। এখানে উল্লেখ্য যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স যে কারণে বাতিল হয়েছে সেই নির্দিষ্ট কারণটি সংশোধন করার পরে আবার আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক করে নিতে হয়।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এই ডিজিটাল সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করার সুযোগ হয়েছে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক করতে নিম্নের ওয়েবসাইট এ সকল তথ্য সাবমিট করুন।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হলে করনীয়

আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে কিংবা সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে দাবি করার লক্ষ্যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর আবেদন করে থাকে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বিভিন্ন ত্রুটির কারণে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হয়ে যায়। আবার অনেকে জানে না তার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হয়েছে।

পুলিশ ক্লিয়ার রিজেক্ট হয়েছে কিনা তা চেক করার জন্য ভিজিট করুন - পুলিশ ক্লিয়ার চেক। এই ওয়েবসাইটে নিজের সকল তথ্য সাবমিট করার পরে যদি দেখেন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হয়েছে তাহলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হলে পরবর্তী বিভিন্ন করণীয় কাজ রয়েছে। তো চলুন সেসব করণীয় কাজ বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক এই ওয়েব সাইটে সকল তথ্য সাবমিট করার পরে কি কি ভুল রয়েছে তা উল্লেখ করা থাকে। উল্লেখিত সকল ভুল সংশোধন করে নতুন করে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য আবেদন করতে হয়। একবার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর আবেদন করলে তা সংশোধনের সুযোগ নেই। এজন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর আবেদন করার সময় সকল তথ্য নির্ভুলভাবে সাবমিট করতে হবে।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স মেয়াদ কতদিন থাকে

আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে কিংবা সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে দাবি করার লক্ষ্যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর আবেদন করে থাকে। কিন্তু অনেকে মনে করে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জীবনে একবার করলে তা আজীবন ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু তাদের এ ধারণা ঠিক সম্পূর্ণ ভুল।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর নির্দিষ্ট মেয়াদ রয়েছে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর মেয়াদ কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক নির্দেশিত হয়ে থাকে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারির পর নিজের হাতে পাওয়ার পর থেকে এই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর মেয়াদ ৯০ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। অর্থাৎ ৯০ দিনের মধ্যে যেসব কাজে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর প্রয়োজন সে সব কাজে সাবমিট করা যাবে।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট হাতে পাওয়ার ৯০ দিন পরে এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাবে। অর্থাৎ যেসব কাজে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন ৯০ দিন পর সে সব কাজ করার প্রয়োজন মনে করলে আবার নতুন করে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন করতে হবে। এজন্য এ কাজটি যত দ্রুত করা যায় ততই ভালো।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কত টাকা লাগে

আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে কিংবা সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে দাবি করার লক্ষ্যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর আবেদন করে থাকে। কিন্তু যারা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে চাই তাদের সবার মনের একটি কমন প্রশ্ন থাকে যা হল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কত টাকা লাগে।

সাধারণত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক নির্ধারিত পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে ৫০০ টাকা লাগে। এই ৫০০ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক অথবা সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখায় গিয়ে প্রদান করতে হয়। এছাড়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে অনলাইনের মাধ্যমেও এ টাকা জমা দেওয়া যায়।

শেষ কথাঃ তিসির তেল কোথায় পাওয়া যায়

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি সময় - পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কত টাকা লাগে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আশা করি আজকের আমার এই পোষ্টটি আপনাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আজকের পোষ্টটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর এরকম সব গুরুত্বপূর্ণ, তথ্যমূলক ও জীবন সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পেতে www.proudwin.com এর সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।২৮